কাছ থেকে সিংহের ছবি তুলতে গিয়ে নারী জখম

কাছ থেকে ছবি তুলতে সিংহের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন এক নারী। আর সেটা করতে গিয়ে সিংহের হাত জখম হয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় অবস্থিত তাইগান সাফারি পার্কে আক্রান্ত হন ওলগা সোলোমিনা নামের ৪৬ বছরের ওই নারী।

nonameপার্কটিতে ঘুরে বেড়ানো এবং ‘সিংহের সঙ্গে হাঁটা’র জন্য ইউক্রেনের মুদ্রায় ছয় হাজার রুবল পরিশোধ করেছিলেন পশুপ্রেমী ওই নারী। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় সাত হাজার ৯৩৫ টাকা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে ওই নারী জানান, তাকে খাঁচায় ঢুকে একটি সিংহের সঙ্গে ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি ছবি তোলার পরই ওঁৎ পেতে থাকা একটি সিংহ তার হাত ও চোয়ালে আঘাত করে তাকে টেনে নিতে শুরু করে। পরে সাফারি পার্কের পরিচালক ওলেগ জাবকভ এসে সিংহটিকে সেখান থেকে তাড়াতে সক্ষম হন।

ক্রিমিয়া ২৪ টেলিভিশনকে ওলগা সোলোমিনা বলেন, ডান হাতে থাবা দিয়ে সিংহটি আমাকে মেঝেতে ফেলে দেয়। আমি শুধু চোখ বন্ধ করার সময় ফেলাম। ভাবলাম, এখনই আমাকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে।

তিনি বলেন, এভাবে থাবা দেওয়া হচ্ছিল, যেন আমি একটা পুতুল। এটা ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময়। তবে আমার কাছে এটাকেই দীর্ঘস্থায়ী মনে হচ্ছিল। সে সময়ে আমি নিজের জীবনকে গুডবাই জানাই।

ওলগা সোলোমিনাকে প্রথমে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে তার ডান হাতে কিছুটা জখম হয়েছিল। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।

সাফারি পার্কটির পরিচালক ওলেগ জাবকভ বলেন, গত সাত বছরের ইতিহাসে সেখানে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি।

ওলেগ জাবকভের দাবি, আহত ওলগা সোলোমিনা মদ্যপ হয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম ভেঙেছিলেন। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পর সাফারি পার্কের পক্ষ থেকে তার হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাইগান সাফারি পার্কের পরিচালক বলেন, ‘আমার মতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই নারী কিছুটা মদ্যপ ছিলেন। ইতোপূর্বে আমি বা প্রশাসনের কেউ এমনটা প্রত্যক্ষ করেনি। আমি তাকে সিংহের চুল টান মারতে দেখি যা অযথার্থ আচরণ। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি হাসপাতালেও যেতে চাননি। একপর্যায়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি চেতনানাশকের বদলে কনিয়াক (ফরাসি মদ) চান। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট।