যুক্তরাজ্যে আইএসের ভূখণ্ড সফরকারীদের দিকে বাড়তি মনোযোগের তাগিদ

জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হয়ে ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধাঞ্চল সফর করেছে এমন ব্রিটিশ নারী ও শিশুদের দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। তাদের ব্যাপারে বিশ্লেষণ করতে হবে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে এভাবেই সতর্ক করেছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টাডি অব রেডিক্যালাইজেশন (আইসিএসআর)। ফ্রম দায়েশ টু ‘ডিজাপোরা’: ট্রেসিং দ্য উইম্যান অ্যান্ড মাইনরস অব ইসলামিক স্টেট’ শিরোনামের এই গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজে তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চ্যালেঞ্জ পূর্ণাঙ্গভাবে বোঝার চেষ্টা করা না হলে এসব নারী ও শিশুরা একটি তাৎপর্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টাডি অব রেডিক্যালাইজেশন-এর পরিচালক শিরাজ মাহের বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের পুরুষ সদস্যদের দ্বারা তারা প্রভাবিত হয়েছে; যা তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।

আইএসের কথিত খেলাফতের পতন হওয়ায় এই নারী ও শিশুরা তাদের মতাদর্শ প্রচার ও সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে সরকারের উচিত বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখানো।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-কে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে নাইমুর জাকারিয়া রহমান নামের এক তরুণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনের প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে ১৮ জুলাই তাকে ওল্ড বেইলি কোর্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর নাইমুর রহমান নামের ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, থেরেসা মে’র ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের ফটকে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং ভবনের ভেতরে ঢুকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলো সে। ছুরি, পিপার স্প্রে এবং সুইসাইড ভেস্ট ব্যবহার করে হত্যা করতে চেয়েছিল ২০ বছর বয়সী নাইমুর। সে উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা।

ওল্ড বেইলি আদালতে নাইমুরের সহিংস পরিকল্পনার বিস্তারিত নিয়ে শুনানি হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনের প্রস্তুতি নেওয়ার অপরাধে বুধবার (১৮ জুলাই) আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের প্রধান ডিন হায়ডন বলেন, নাইমুরের এক চাচা আইএস সদস্য। সে সিরিয়ায় আছে। তার সঙ্গে নাইমুরের যোগাযোগ ছিল। সেই মূলত নাইমুরকে ব্রিটেনে হামলা চালাতে প্ররোচিত করেছে। দুই বছর ধরে এ হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো নাইমুর। তবে গত গ্রীষ্মে এক ড্রোন হামলায় তার সেই চাচা মারা যায়।