শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি, শহিদুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি

নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে স্বনামধন্য আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের আটকের ঘটনাকে ‘সরকারের দমননীতি জোরালো হওয়ার ভয়াবহ নজির’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করা হয়েছে।
noname

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গত সপ্তাহ থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও শুক্রবার থেকে হামলার শিকার হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ওমর ওয়ারাইচ তার বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অবিলম্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের পক্ষে কথা বলা মানুষদের ওপর চালানো দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, এর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি বলপ্রয়োগের ঘটনায় অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিক্ষোভ কমূসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলা আর পুলিশি নীরবতারও তদন্ত দাবি করেছে অ্যামনেস্টি।  বিবৃতিতে শহিদুল আলমের আটক প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ পথে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার কারণে কাউকে আটকের কোনও ন্যায্যতা নেই। অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ দিকেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা থেকেই সরকারের এই সব সংকট সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের সদস্য পরিচয় দিয়ে এক দল লোক বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার এবং দৃক ও পাঠশালা মিডিয়া ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে শহীদুল আলমকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেছেন, ‘যারা তুলে নিয়ে গেছে তারা অফিসিয়ালি আমায় কিছু বলেননি। কোন তথ্যও দেওয়া হয়নি। আমি সত্যিকার অর্থেই জানতে চাই, তার কী অপরাধ?’