ড্রোন হামলায় কলম্বিয়ার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দেবে ভেনেজুয়েলা: মাদুরো

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার জন্য আবারও কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেছেন। সোমবার দিবাগত রাতে টুইটারে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই হত্যাচেষ্টার সঙ্গে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসের জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টর মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রমাণাদি হাজির করা হবে।

nonameমাদুরো’র এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার উত্তরসূরী ইভান ডুকের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। তার আগেই এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তিনি। অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস।

মাদুরো বলেন, ওই হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এখন ঘটনার মূল হোতাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তারা বলছেন, মাদুরোকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ভেনেজুয়েলার সরকারবিরোধী ‘কট্টর ডানপন্থী’ সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশে এ হামলা চালিয়েছে কলম্বিয়া। চক্রান্ত বাস্তবায়নে তহবিল এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে। তবে কলম্বিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও ওই ঘটনায় তাদের যোগসাজশের কথা অস্বীকার করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনওভাবেই এতে যুক্ত নয় বরং এটি ভেনেজুয়েলা সরকারের সাজানো নাটক হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজধানী কারাকাসে সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থী নেতা নিকোলাস মাদুরো। তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে হামলার পর সেনাসদস্যরা ছোটাছুটি শুরু করে। ঘটনায় সাত সেনা সদস্য আহত হন। দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ বলেছেন, এই হামলা প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর ৮১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খোলা মাঠে সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের ভাষণের সময় বিস্ফোরক ভর্তি দুটি ড্রোন মঞ্চের কাছ দিয়ে উড়ে যায়। এ সময় ছোটাছুটি শুরু করে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো সেনাসদস্যরা।

হামলার পর থেকেই এজন্য কলম্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গোষ্ঠী এবং নিজ দেশের বিরোধী দলকে দায়ী করে আসছে মাদুরো সরকার। প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ভেনেজুয়েলা থেকে বহিষ্কৃত কয়েক হাজার মানুষের বসবাস।