নয়াদিল্লি সফরে এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

ভারত সফরে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীআসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ যে উদ্বিগ্ন, ভারতের নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে মোদি সরকারকে সে কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লিতে গিয়ে সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা এমনিতেই এগারো লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এরপর যদি আসাম থেকে আরও চল্লিশ লাখ লোককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে তা আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে।’
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অবশ্য তাকে আশ্বাস দিয়েছেন, এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশ অস্বস্তিতে পড়ে ভারত সরকার এমন কিছুই করবে না। এ যাবত বাংলাদেশ সরকার এনআরসি বিতর্ককে আগাগোড়াই ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে চিহ্নিত করে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক দলের এ নেতা আনুষ্ঠানিকভাবেই ভারতের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লিতে স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি নিজেই এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। সোমবার তিনি বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গেও। গত মাসেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সফর করে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। এবার সফর করছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের এ নেতা। এর আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি ঘুরে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। জুন মাসের গোড়ার দিকে এসেছিলেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তরিকত ফেডারেশনকে গুরুত্ব দিই কারণ তারা বাংলাদেশে সুফি ভাবধারার প্রতীক। জামায়াতের মতো পাকিস্তানপন্থী শক্তি কিংবা মওদুদী বা ওয়াহাবি ভাবধারার সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সঙ্গে দিল্লি সফরে এসেছেন তার ছেলে, দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তায়াবুল বশর মাইজভান্ডারী। আছেন দলের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীও।