আদালতে নওয়াজ শরীফ

পাকিস্তানে একাউন্টিবিলিটি আদালতের সামনে হাজির করা হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে। সোমবার ইসলামাবাদে কড়া নিরাপত্তায় আল-আজিজিয়া ও ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলায় তাকে আদালতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। 

5a0bdaaa60705

লন্ডনে কেনা বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধে দেওয়া অর্থের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফ আর তার মেয়ে মরিয়মকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় লন্ডনে অবস্থানরত পিতা ও কন্যা শুক্রবার দেশে ফিরেই গ্রেফতার হন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ ও নওয়াজের নিজের নির্বাচনি এলাকা পাঞ্জাবের পুলিশ কর্মকর্তাদের সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে পিএমএল-এন নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দলটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার আদালতে নেওয়ার পর সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাক্ষী ও পানামাগেট যৌথ তদন্তকারী দলের প্রধান ওয়াজিদ জিয়া। আল-আজিজিয়িা রেফারেন্সে তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলায়ও তার বক্তব্য শোনা হবে।

এদিন বিচারিক ভবনে কোনও সংবাদকর্মীদেরও প্রবেশ করতে দেওযা হয়নি। শরীফের আইনজীবী খাজা হারিসও এদিন আদালতে আসেননি। তার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে শরীফ, মরিয়ম নওয়াজ ও ক্যাপ্টেন সফদরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা। শরীফের অন্য আইনজীবী ফ্ল্যাগশিপ রেফারেন্স নিয়ে জিয়ার বয়ান রেকর্ডের জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে বুধবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। পরবর্তী শুনানিতে নওয়াজ শরীফ, জিয়া ও মেহবুব আলমকে হাজির করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত শুনানিতেই হাজির হওয়ার কথা ছিলো শরীফের। তবে ন্যাশনাল একাউন্টিবিলিটি ব্যুরো কর্মকর্তারা বলেন, নিরাপত্তার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।

বৃহস্পতিবার একাউন্টিবিলিটি বিচারক আরশাদ মালিক এই শুনানি শুরু করেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এটি বিচারক মোহাম্মদ বশিরের কাছ থেকে তার বেঞ্চে মামলাটি স্থানান্তর করে। ৬ জুলাই মোহাম্মদ বশির আভেনফিল্ড প্রপার্টিজ দুনূীতি মামলায় নওয়াজ শরীফকে ১০ বছর ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে ৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এরপর আল-আজিজিয়া ও ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলা একাউন্টিবিলিটি আদালতে স্থানান্তর করার আবেদন করেন শরীফ। কয়েকদিন পর বশির এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আরশাদ মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন।