ব্রিটেনের গাড়ি হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলছে পুলিশ

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বেষ্টনীর সামনে গাড়ির ধাক্কাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিবেচনা করছে দেশটির পুলিশ। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নিল বাসু বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এক সন্ত্রাসী হামলা বলেই বিবেচনা করছি।

ব্রিটেনের গাড়ি হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলছে পুলিশমঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থাকা নিরাপত্তা বেষ্টনীর সঙ্গে একটি গাড়ি ধাক্কায় বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়। এ ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যকে উদ্ধৃত করে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলটি ঘেরাও করে রেখেছে।

পুলিশ জানায়, ওই চালকের বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। সাউথ লন্ডন পুলিশ স্টেশনে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। বাসু বলেন, আমাদের এখন কাজ হচ্ছে তার পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিশ্চিত করা।

হাউসেস অব পার্লামেন্ট এলাকাটি স্ট্রিল ও কংক্রিটের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করা। ২০১৭ সালের মার্চে খালিদ মাসুদ নামের এক ব্যক্তি ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে গাড়ি চালিয়ে হামলা করার পর থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেদিন খালিদ মাসুদ গাড়ি নিয়ে ভিড়ের মধ্যে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। পরে গাড়ি থেকে নেমে ছুরি দিয়ে নির্বিচারি হামলার এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে সে মারা যায়

লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবারের হামলার পর তারা দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।  প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এ ঘনাকে ইচ্ছেকৃত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, গাড়িটি ঘণ্টায় ৫০ মাইল বেগে চলছিলো। এওয়ালিনা ওচাব নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া গাড়িটির সামনে কোনও রেজিস্ট্রেশন প্লেট লাগানো ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে গতিতে গিয়ে গাড়িটি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ধাক্কা খেয়েছে তা ইচ্ছেকৃত ছিল। আমি রাস্তার অপর পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। তখন কিছু শব্দ শুনতে পেলাম এবং বুঝলাম কেউ চিৎকার করছে। আমি তাকালাম এবং দেখলাম তীব্র গতিতে রূপালি রঙের একটি গাড়ি বেষ্টনীর দিকে যাচ্ছে এমনকি ফুটপাথেও উঠে গেছে। যে লোকটি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তিনি গাড়ি থেকে বের হয়ে আসেননি।’