মার্কিন পণ্য বর্জনের ঘোষণা এরদোয়ানের

তুরস্কে বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজককে আটকের জেরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আঙ্কারার কূটনৈতিক লড়াই তীব্রতা পেয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এছাড়া বিশ্বখ্যাত মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইফোন বর্জনেরও ঘোষণা দেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রনিক পণ্য বর্জন করবো। এতোদিন ধরে বিদেশি মুদ্রায় যা কেনা হতো তার চেয়ে ভালো সামগ্রী প্রস্তুত করবে তুরস্ক এবং তা রফতানি করা হবে।

এরদোয়ান বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে অর্থনীতি ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না। অস্থিরতা তৈরি করতে কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রেও তারা এমন চেষ্টা করেছে।

তুরস্কে এক মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মযাজককে আটকের ঘটনায় সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুর্কি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এতে করে তুর্কি লিরার দরপতন ঘটে। এর প্রেক্ষিতে দুই দেশের বিদ্যমান উত্তপ্ত সম্পর্কে আরও উত্তাপ ছড়ায়। জনগণকে তাদের কাছে গচ্ছিত ডলার ও ইউরো ভাঙিয়ে তুর্কি মুদ্রা লিরা গ্রহণের আহ্বান জানান এরদোয়ান।

তুর্কি সরকার বলছে, ওই মার্কিন ধর্মযাজকের সঙ্গে তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দি বিদ্রোহীদের সম্পর্ক রয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেবার্ট প্রদেশে এক সমাবেশে এরদোয়ান বলেন, ‘আপনাদের যাদের ম্যাট্রেসের নিচে ডলার, ইউরো বা সোনা রয়েছে, তারা ব্যাংকে গিয়ে এগুলো ভাঙিয়ে লিরা করে নিন। এটা হবে যারা আমাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে; তাদের বিরুদ্ধে আমাদের জনগণের উত্তর।’

তিনি বলেন, তুর্কি জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নেতিবাচক দিকগুলো থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা তুরস্কের রয়েছে। ওয়াশিংটন যদি ‘একলা চলার এবং সম্মান না দেখানোর’ পথ ত্যাগ না করে তাহলে আঙ্কারাও নতুন মিত্র খুঁজে নেবে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।