মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ালো তুরস্ক

মার্কিন ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পর এবার আমদানি পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে তুর্কি সরকার। বুধবার মার্কিন আমদানি পণ্যে শূল্ক বৃদ্ধির ফরমানে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানমার্কিন যাজক আটকের ঘটনা থেকে সম্প্রতি তুরস্ক ও আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন সরকার তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন আইনমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন এরদোগান। এরপর গত শুক্রবার তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিগুণ শূল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবারের ঘোষণায় তুরস্ক জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ১২০ শতাংশ, অ্যালকোহলিক পানীয়র ক্ষেত্রে ১৪০ শতাংশ ও তামাকজাত পণ্যে ৬০ শতাংশ শূল্ক বাড়িয়েছে তুর্কি সরকার।  এছাড়াও কসমেটিকস, কয়লা ও চালে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর আগে আইফোনসহ বিভিন্ন মার্কিন ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন এরদোগান।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক যুদ্ধের কবলে পড়েছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে দেশের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রা লিরার বিনিময় মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ এই দরপতনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসনকে গ্রেফতার করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে টানাপোড়েন অনেক জটিল হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে তুরস্কের ওপর বেশ কিছু বিধি-নিষেধও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ব্রুনসনর মুক্তি দাবি করছে আর তুরস্ক বলছে সে ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলে আসছেন, ব্রানসনকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত চায় তুরস্ক। ফেতুল্লাহ গুলেনকে ওই অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিহিত করে থাকে তুরস্ক।