নেপালকে ৭ চীনা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে বেইজিং

চীনের সাতটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে হিমালয়কন্যা নেপাল। এরমধ্যে চারটি সমুদ্রবন্দর এবং তিনটি স্থলবন্দর। শুক্রবার নেপালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে বন্দর সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোও নেপালকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

Nepalএ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দৃশ্যত স্থলবেষ্টিত নেপালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতের একচ্ছত্র প্রভাব ক্ষুণ্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং। ফলে নেপাল ও চীনের মধ্যকার এই সমঝোতা ভারতকে স্পষ্টতই অস্বস্তির মধ্যে ফেলবে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি কবে স্বাক্ষরিত হবে তা জানা যায়নি। এটি স্বাক্ষরের পর নেপালে ভারতের একচেটিয়া বাণিজ্য হুমকিতে পড়বে।

নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রবি শংকর সাইনজু বলেন, ভারতের দুই বন্দর পাশাপাশি এখন থেকে চার চীনা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেতে যাচ্ছে কাঠমান্ডু। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

খসড়া চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর চীনের তিয়ানজিন, শেনজেন, লিয়ানইয়ুংগাং ও ঝানজিয়াং সমুদ্রবন্দর এবং লানঝৌ, লাসা ও জিগাৎসে স্থলবন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাবে কাঠমাণ্ডু। ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে নেপালমুখী কার্গোবাহী জাহাজের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে। বিশেষ করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর এশিয়া থেকে নেপালমুখী জাহাজগুলো এ সুবিধা ভোগ করবে।

উল্লেখ্য, ভারত ও চীনের মাঝামাঝি অবস্থিত নেপালকে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য অনেকাংশেই দিল্লির ওপর নির্ভর করতে হয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যেও ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করতে হয় দেশটিকে। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগে ভারত নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে দেশটি।

২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্তে ভারতের অস্বস্তিকর আচরণে বেকায়দায় পড়েছিল নেপাল। এতে করে দেশটিতে জ্বালানি ও ওষুধের সংকট তৈরি হয়। মূলত ওই ঘটনার পরপরই ভারতের বিকল্প খুঁজতে থাকে কাঠমাণ্ডু। নতুন চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে সহজেই সে বিকল্প হিসেবে জায়গা করে নেবে বেইজিং।