মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন আনোয়ার ইব্রাহিম

মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম। পার্লামেন্টে বসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নিজ দলের একজন এমপি পদত্যাগ করার পর দলের পক্ষ থেকে তার মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

LYNXNPEE8B0I3_L

 গত মে মাসের নির্বাচনে মালয়েশিয়ার সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে আনোয়ার ইব্রাহিমের দল জয়লাভ করে। নির্বাচনে জোট গঠনের প্রধান শর্ত ছিল, বিজয়ী হলে মাহাথির আনোয়ার ইব্রাহিমকে কারাগার থেকে মুক্ত করবেন, আর দুই বছর পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে নিজে অবসর নেবেন। ওই প্রতিশ্রুতির আইনগত বৈধতা দেওয়ার জন্য আনোয়ার ইব্রাহিমের পার্লামেন্টের সদস্যপদ দরকার। তাই তাকে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে নিজ দলের একজন এমপি পদত্যাগ করেন।

আনোয়ার মালয়েশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নেগরি সেমবিলান রাজ্যের পোর্ট ডিকসন আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তার দল পিপলস জাস্টিস পার্টি-পিকেআর এখন সরকারি জোট পাকাতান হারাপানের নেতৃত্ব দিচ্ছে ও তাকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য সব বন্দোবস্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। পিকেআর মহাসচিব সাইফুদ্দিন নাসুশন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি একজন পার্লামেন্ট মেম্বার হিসেবে তিনি পাকাতান হারাপান জোটের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবেন।’ স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ওই সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তবে সম্মেলনে আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন না।

Malaysia-Mahathir-Mohamad-Anwar-Ibrahim-1996-960x576

’৯০-এর দশকে মাহাথির মোহাম্মদের শেষ আমলে সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে আনোয়ারকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারপর থেকেই তিনি মালয়েশিয়ায় সংস্কারপন্থী রাজনীতি শুরু করেন। আনোয়ার ওই সময় মাহাথিরের প্রধান সহকারী ছিলেন। তবে ১৯৯৭-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত চলা অর্থনৈতিক সংকটের সময় দুই নেতার সম্পর্কে ফাটল ধরে। ২০০৪ সালে কারামুক্ত হলেও ২০১৫ সালে সমকামিতার অভিযোগে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। দুই সময়ই তিনি ও তার সমর্থকরা এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।

মে মাসের নির্বাচনে জয়লাভের পর মাহাথির মোহাম্মদ আনোয়ারের রাজকীয় ক্ষমা মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতিও দেন। এর মাধ্যমে একসময় বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হওয়া দুই নেতা আবারও বন্ধুত্ব গড়েন।