ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ফিলিস্তিনের

ফিলিস্তিনের খান আল-আহমারে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন ও ফিলিস্তিনি স্থাপনা ধ্বংসকে যুদ্ধাপরাধ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিন। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণের ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডলইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

0ed9e763cdce6f7ec9ca9bb7cf543b33-5b195970b0443প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার তারা এই অভিযোগ করেন। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের মহাসচিব সায়েব এরকাত বলেন, তারা আইসিসি বিচারক ফাতু নেসুদার কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তারা বিশেষ করে অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে খান আল-আহমার গ্রামে চালানো ধ্বংসযজ্ঞ চালানোকে যুদ্ধাপরাধ বলেছেন।

১৯৯৭ সালের ১৭ জুলাই রোম স্ট্যাচু গৃহীত হয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে রোম স্ট্যাচু কার্যকর করতে ১২০টি দেশের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল। ১২০ দেশের স্বীকৃতির পর ২০০২ সালের ১ জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার কার্যক্রম শুরু করে। রোম স্ট্যাচুর প্রতি ১২৩ দেশের সমর্থন থাকলেও ৭০টি দেশ এতে অনুমোদন দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও এ আদালতকে স্বীকৃতি দেয়নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম নীতিমালায় স্বাক্ষর করলেও প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তা প্রত্যাহার করে নেন। এই আদালত সাধারণত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের অভিযুক্ত করে থাকে।

রামাল্লায় এক সংবাদ সম্মেলনে এরেকাত বলেন, খান আল-আহমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও বেসামরিকদের সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। সেটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। টুইটারে পিএলও নেগোশিয়েশন অ্যাফেয়ার্স বিভাগের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।

একদিন আগেই মার্কিন নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ করলে ভালো হবে না। তারা তাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে।