নাজিব রাজাকের আইনজীবীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলা

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের আইনজীবীর বিরুদ্ধে এবার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী কমিশন (এমএসিসি) মামলাটি দায়ের করে। রাষ্ট্রীয় ওয়ানএমডিভি তহবিল থেকে কিভাবে কোটি কোটি ডলার হাওয়া হয়ে গেলো তা নিয়ে তদন্ত করছে এ কমিশন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। ওয়ানএমডিভি তহবিল আত্মসাতের মামলায় নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধেও বিচার চলছে। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।

নাজিবের আইনজীবী শাফি
২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ওয়ান মালয়েশিয়া ডেপেলপমেন্ট বেরহাদ বা ওয়ান এমডিবি তহবিলটি গঠন করা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ আত্মসাৎ করে তিনি নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন। নাজিবের শাসনামলে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ তাকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও এ তহবিল সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশ তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে থাকে। নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,ক্ষমতায় এলে নাজিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা হবে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর নাজিবের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের একদিন পরই জামি,ন লাব করেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

নাজিবের হয়ে আদালতে লড়ছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাফি। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও ওয়ানএমডিবি’র ইউনিট এসআরসি ইন্টারন্যাশনালে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। কুয়ালালামপুরের একটি আদালতে শাফির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়। জানা গেছে, অবৈধভাবে পাওয়া ৯৫ লাখ ডলার মালয়েশীয় রিঙ্গিত বিদেশে পাচার করেছেন শাফি। নাজিবের স্বাক্ষরিত চেক পেয়েছিলেন তিনি।

ওয়ানএমডিবি দুর্নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ছয়টি দেশে তদন্ত চলছে। সিঙ্গাপুর ওয়ানএমডিবি তহবিলের ১ কোটি ১১ লাখ ডলার মালয়েশিয়াকে ফেরত দিয়েছে। ২৫ কোটি ডলার মূল্যের একটি রণতরীও ফেরত পেয়েছে মালয়েশিয়া।