সিরিয়ায় রুশ বিমান বিধ্বস্ত: রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার ইসরায়েলের

সিরিয়ার আকাশসীমায় রুশ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা রাশিয়ার পরোক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেল আবিব। তাদের দাবি, সিরিয়া, ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহর কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

cd669a9029e8460da7107fb223403d21_18

সোমবার ১৪ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান সিরিয়ার আকাশসীমা থেকে উধাও হয়ে যায়। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে রুশ বিমানটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইলিউশিন-২০ বিমানটি সিরিয়ার উপকূল থেকে রাশিয়ার হামেইমিম বিমানঘাঁটির দিকে যাচ্ছিলো। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান.আমরা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এই আচরণকে আগ্রাসী বিবেচনা করছি। তাদের এই দায়িত্বহীনতার কারণে ১৫ জন রুশ সেনার মূল্য দিতে হয়েছে।

ইসরায়েল এই দাবি অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে জানায়, এই ঘটনার জন্য সিরিয়া, ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনী দায়ী।    

রুশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অবস্থান করছিলো। তারা রুশ বিমানকে মাত্র এক মিনিটের সতর্কবার্তা দিয়েই গুলি চালানো শুরু করে। এরপর সিরিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি চালালে এর মাঝে পড়ে ধ্বংস হয় রুশ বিমানটি। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, রুশ বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

সিরিয়ায় ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে তিন লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিপরীতধর্মী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তবে আসাদ সরকারের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। আর রাশিয়া বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়াও আইএস ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রক্সি যুদ্ধে মেতে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করেন।