জেরুজালেমে আরও অবৈধ বসতি স্থাপন করছে ইসরায়েল

অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুজালেমে আরও ২২০টি অবৈধ বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েল।  এক অধিকারকর্মীকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর। আরেহ কিং নামের ওই ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও অধিকার কর্মী জানান, ইসরায়েল সিভিল প্রশাসন এই বসতির অনুমোদন দিয়েছে।

gilo-settlement-2

ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে।  ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত অবৈধভাবে নির্মিত বসতিতে প্রায় ৬ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনতার প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে আসছে ইসরায়েল।

জানা যায়, পূর্ব জেরুজালেমের জাবাল আল মুকাবেহর এলাকায় এই বসতি নির্মাণ করা হবে। কোনরকম দ্বিমত ছাড়াই এই বলিটি পাশ হয়েছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই শুরু হবে কাজ।

এই বসতি নির্মাণ নিয়ে কাজ করা পর্যবেক্ষণ সংস্থা পিস নাউ জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‍যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ১৪ হাজার ৪৫৪ টি অবৈধ বসতির অনুমোদ দিয়েছে ইসরায়েল। আগের মার্কিন প্রশাসন থাকা অবস্থার চেয়ে যা প্রায় তিনগুণ।