নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আরও ২১টি অভিযোগ

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আরও ২১টি মানি লন্ডারিং অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওয়ানএমডিবি ফান্ড থেকে তার অ্যাকাউন্টে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার নেওয়ার ঘটনাতেই এই অভিযোগ দায়ের করা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

image_kcn1m008c-data

বুধবার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারিতে নাজিব রাজাককে গ্রেফতার করা হয়। ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) থেকে ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ৬২ কোটি ৭০ লাখ ডলার স্থানান্তরের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মালয়েশিয়ার দুর্নীতি-বিরোধী কমিশন (এমএসিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

পুলিশের উপমহাপরিদর্শক রশিদ ইব্রাহিম এক বিবৃতিতে বলেন, এই মানি লন্ডারিং অভিযোগের মধ্যে নয়টিতে অবৈধভাবে গ্রহণ, পাঁচটিতে অবৈধভাবে ব্যবহার ও সাতটিতে এগুলো হস্তান্তরের অভিযোগ রয়েছে। নাজিব অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

২০০৯ সালে নিজেই ওয়ানএমডিবি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাজিব। তবে মাহাথির মোহাম্মদের কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ গঠন করা হতে পারে। অভিযোগ ওঠে অর্থ আত্মসাতের।  

ওয়ানএমডিবির সঙ্গে নতুন ২১টি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে না বললেও সঙ্গে মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগ জানিয়েছে বলে জানান রাশিদ নুর।   

নাজিব রাজাক ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তবে সৌদি সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৩ সালের নির্বাচনে জিততে মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দিয়েছিল সৌদি আরব। মূলত দেশটিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ঠেকাতেই তাকে এ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ অর্থ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন করেছিলেন।