ইয়েমেন শান্তি আলোচনায় জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থনের ঘোষণা আমিরাতের

ইয়েমেনে নতুন শান্তি আলোচনার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবকে সমর্থন করবে বলে  জানিয়েছে আরব আমিরাত। বুধবার জাতিসংঘ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে  ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথসের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন কথা জানান আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস।

আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, সৌদিপন্থী আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করা। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আর এই যুদ্ধে ইতিহাসের ভয়াবহতম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইয়েমেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্ক লোকোক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইয়েমেনে যেকোনও সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে আর এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। তারপর  বিদ্রোহী অধ্যুষিত হোদায়দাহ ও রাজধানী সানার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে সৌদি জোট। এরপর শান্তি আলোচনার বিষয়ে কথা বললেন আমিরাতি কর্মকর্তা।

দুই সপ্তাহ আগে ইয়েমেন নিয়ে জেনেভায় শান্তি আলোচনায় বসার কথা ছিল সৌদি জোট ও হুথি বিদ্রোহীদের। কিন্তু সেখানে হুথিদের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত হয়নি। তাদের অভিযোগ সৌদি জোট বিমান হামলা চালিয়ে সানা থেকে তাদের প্রতিনিধিদের বের হতে দেয়নি। এতে ওই আলোচনা ভেস্তে যায়।

বুধবার জাতিসংঘ দূতের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আজ নিউ ইর্য়কে ইয়েমেন বিষয়ে বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথের সঙ্গে খুবই কার্যকর আলোচনা হয়েছে। জেনেভার পর আমরা জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আমাদের শক্তিশালী সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। নতুন সংলাপের জন্য আমরা জাতিসংঘ প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেব।’

ইয়েমেনে নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে বেসামরিক মানুষকে হত্যার ঘটনায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে। তবে প্রায় প্রত্যেক ঘটনায়ই তাদের নিজস্ব তদন্তে বাহিনীকে নির্দোষ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। সৌদি আরব ও আরব আমিরাত ইয়েমেনে ত্রাণ কার্যক্রমের অর্ধেক খরচ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। তবে মার্ক লোকোক বলেন, যদিও তারা বড় দাতার ভূমিকা পালন করছে তারপরও তাকে বলতেই হবে যে, সামরিক অভিযান ইয়েমেনের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে।