ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব লেবার পার্টি, ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস

দলীয় সম্মেলনে ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নিয়েছেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির তৃণমূল সদস্যরা। ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শ্লোগানে মুখরিত হয়েছে সম্মেলনস্থল, উড়েছে ফিলিস্তিনি পতাকা। দলের পক্ষ থেকে আনা এক ঐতিহাসিক প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের বলপূর্বক উচ্ছেদ ও ইতিহাস বিকৃতির নিন্দা জানানোর পাশাপাশি গাজার অবরোধ প্রত্যাহার ও সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তের জোর দাবি জানানো হয়েছে। ঐতিহাসিক ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

image_1537902006_70221427




মঙ্গলবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে আলোচ্যসূচির শীর্ষ চারটি বিষয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায় ফিলিস্তিন। হাউজিং, স্কুল ব্যবস্থা ও উইন্ডরাশ প্রজন্মের সুবিচার সংক্রান্ত প্রসঙ্গের পর ফিলিস্তিন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্রেক্সিট ও জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চেয়েও বেশি সমর্থন পায় ফিলিস্তিন ইস্যু। দলের পক্ষ থেকে আনা এ সংক্রান্ত অভাবনীয় এক প্রস্তাবে বলা হয়, নাকবা’র সময় ‘বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে’। প্রস্তাবে ‘ইতিহাসের বিকৃতি ও ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ভুক্তভোগীদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে আগ্রাসী পদক্ষেপ’ নেওয়ারও নিন্দা জানানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকালে নিহতদের মধ্যে সেবিকা, সাংবাদিক, নারী ও শিশু রয়েছে। আর আহতদের অর্ধেকই মারণাস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলের শক্তি ব্যবহারের বিষয়ে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এতে ‘অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া’সহ ‘ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাজ্য সরকারের অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখা’র কথা বলা হয়। বিতর্কের সময় সবাই যুক্তরাজ্যের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার ব্যাপারে রায় দেন। ৩০ মার্চ থেকে গাজায় ১৮০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যার ঘটনা তদন্তেরও আহ্বান জানান তারা।
তৃণমূল কর্মীদের নিরঙ্কুশ সমর্থনে লিভারপুলে দলের বার্ষিক সম্মেলনে প্রস্তাবটি পাস করা হয়।