দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের পদযাত্রায় পুলিশি বাধা, স্কুল বন্ধের ঘোষণা

ভারতে কৃষি ঋণ মওকুফসহ বিভিন্ন দাবিতে ‘কিষাণ ক্রান্তি পদযাত্রায়’ অংশগ্রহণকারীরা দিল্লিতে প্রবেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন। গাজিয়াবাদে পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা রাজধানীতে ঢুকতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। লাঠিচার্যের পাশাপাশি পুলিস কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বেশ কয়েকজন কৃষক এতে মারাত্মক আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামীকাল বুধবার গাজিয়াবাদ এলাকার সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

nonameঋণ মওকুফ, সস্তায় বিদ্যুৎ, ফসলের ন্যায্য দামসহ একাধিক দাবিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হরিদ্বারের টিকায়েত ঘাট থেকে কিষাণ কান্তি পদযাত্রা শুরু করে উত্তরপ্রদেশসহ একাধিক রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার রাজধানীতে ওইসব কৃষক সংগঠনের ডাকে রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করে ৭০,০০০ কৃষক।

বড়সড় জমায়েত হবে অনুমান করেই পুলিশ আগে থেকেই দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমানায় ১৪৪ ধারা জারি করে। সেই ধারা অমান্য করে রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের মারামারি লেগে যায়। কৃষকরা এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে।

কৃষকদের ওই পদযাত্রার মূল আয়োজক ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। পদযাত্রা শেষ হওয়ার কথা ছিল রাজঘাটে। সংগঠনের সভাপতি নরেশ টিকায়েত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেন আমাদের থামানো হবে? পদযাত্রা শান্তিপূর্ণ ছিল। সরকারকে যদি কৃষকদের সমস্যার কথা বলতে না পারে তাহলে কাকে বলবে? আমরা কী পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বলব?’

কৃষকদের বাধা দেওয়া ও লাঠিচার্জের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ অনেকে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ ঠিক নয়। কৃষকদের রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া উচিত। আমি তাদের সঙ্গে আছি।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জকে নিষ্ঠুর ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, সরকার কৃষকদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। ফলে তাদের প্রতিবাদ স্বাভাবিক বিষয়। কৃষকদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সূত্র: জি নিউজ, এনডিটিভি।