বর্ণবাদের বিতর্কে জার্মানির আবৃত্তি প্রতিযোগিতা

ডানপন্থী এক রাজনীতিকের কিশোরী মেয়ের অংশগ্রহণ নিয়ে জার্মানির একটি কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আবৃত্তি করা কবিতার জন্য ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এফডি) রাজনীতিক নিকোল হুইচট’র  মেয়েকে প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করেন আয়োজকরা। তবে উপস্থিত শতাধিক দর্শকের তুমুল করতালি পায় ১৪ বছরের ম্যারি মুলার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কবিতাটিতে এক অভিবাসীর ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।মেয়ের সমর্থনে অনলাইনে পোস্ট দিয়েছেন এফডি নেতা নিকোল হুইচট
দক্ষিণ পশ্চিম জার্মানির স্পেয়ার শহরে টিনএজারদের বর্ণবাদ বিরোধী উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয়। জার্মান সংবাদপত্র জঞ্জে ফ্রাইহাইট’র খবরে বলা হয়েছে স্পেয়ার ইয়োথ কাউন্সিল এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় ডানপন্থী এফডি’র রাজনীতিকের মেয়ের আবৃত্তির সমালোচনা করেছেন শহরের মেয়র ও ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ) নেতা মনিকা কাবস।

ইউরোপের অন্যতম আলোচিত ইস্যু অভিবাসী বিরোধী দল এএফডি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো জার্মান পার্লামেন্টে প্রবেশ করে। নির্বাচনে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট ও ৯০টিরও বেশি আসনে জয় পায় তারা।

দলটির নেতা নিকোল হুইচট’র মেয়ের আবৃত্তি দর্শকের তুমুল করতালি পেলেও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা অন্য আরেকজনকে। এই ঘোষণার সময়ে দর্শকদের কেউ কেউ ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যও করেন।

পুরস্কার ঘোষণার সময়ে থাকতে দেওয়া হয়নি এএফডি নেতা নিকোল হুইচটকে। পরে মেয়র মনিকা কাবস, তার বিরুদ্ধে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতাকে এএফডি-র প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।

তবে মেয়েকে সমর্থন জানিয়ে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন মা নিকোল হুইচট। তার বাড়ির বাইরে আঁকা এফডি বিরোধী গ্রাফিতির ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘আধুনিক নাৎসীরা অন্যের বাড়িতে এঁকেছে’।

প্রসঙ্গত, গত আগস্টে চেমনিস্ট শহরে দুই অভিবাসীর বিরুদ্ধে এক জার্মান নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকে এই ইস্যুতে দেশটিতে উত্তেজনা চলছে। হত্যাকাণ্ডের জের ধরে এক দশকের মধ্যে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি ডানপন্থা জনিত সহিংসতার ঘটনা ঘটে।