ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার সীমান্তে ৭ রোহিঙ্গাকে আনলো ভারত

ভারতে সাত রোহিঙ্গাকে বাসে করে সীমান্তে নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ। সেখান থেকে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। এই সাতজন ২০১২ সাল থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাভোগ করছিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

2018-10-03T140150Z_1_LYNXNPEE9217J_RTROPTP_2_MYANMAR-ROHINGYA-INDIA

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ। সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সময় ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। এখনও দেশটিতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে বলেন, তারা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আসামের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেই এই সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। েএটি নিয়মমাফিক কর্মকাণ্ড বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের এই জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী। বণর্বাদ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টেনদায়ী আচিউম বলেন, ভারতীয় সরকার আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে অবগত এবং তাদের এটা মানতে হবে।কাঠামোবদ্ধ বৈষম্য, হত্যা, বিদ্বেষ ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এই মানুষগুলো পালিয়ে এসেছে। তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা দিতে হবে।

মিয়ানমারের সরকারি মুখপাত্র হাও তায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করলেও কিছু জানতে পারেনি রয়টার্স। গত মাসেই তিনি জানিয়ে দেন যে এই ইস্যুতে সংবাদমাধ্যম কোনও কথা বলবেন না।

গত বছর ভারতে অবস্থানকারী সব রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট হলে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের না তাড়ানোর রায় হয়।