নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এক পয়সা’ও দেবে না সৌদি আরব

 

এক সাম্প্রতিক মন্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, মার্কিন সমর্থন ছাড়া সৌদি যুবরাজ দুই সপ্তাহও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। ধারাবাহিকভাবে তিনি দাবি করে আসছেন, নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতের বিনিময়ে সৌদি আরবের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ পরিশোধ করা। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এক পয়সা’ও দেবে না।
মোহাম্মদ বিন সালমান

নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই নিরাপত্তা দেওয়ার বিনিময়ে সৌদি আরবের কাছে অর্থ দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে উইকনসিস রাজ্যে এক নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবকে সুরক্ষা দিচ্ছি। রিয়াদ এর বিনিময়ে উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করছে না। ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, সৌদি আরব যদি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত দেখতে চায় তাহলে তাদের ওয়াশিংটনকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। সবশেষ ২ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার মিসিসিপি’তে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবকে সুরক্ষা দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া তারা দুই সপ্তাহও টিকতে পারবেন না।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইল যুবরাজ বিন সালমান ব্লুমবার্গকে বলেন, “প্রকৃতপক্ষে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কিছুই দেব না। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে অর্থের বিনিময়েই আমরা অস্ত্র কিনে থাকি, বিনা পয়সায় নয়।” সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্য আমেরিকাকে কোনো অর্থ দেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা -এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিন সালমান বলেন, “ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের শুরু থেকেই আমরা সবকিছু অর্থের বিনিময়ে কিনেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমরা পরবর্তী ১০ বছরের জন্য তাদের কাছে থেকে শতকরা ৬০ ভাগ অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

৩৩ বছর বয়সী সৌদি যুবরাজ আরো বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকার সঙ্গে সৌদি আরব ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্রসহ অন্যান্য বিনিয়োগ চুক্তি করেছে যার মোট মূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলার; এসবই ট্রাম্পের জন্য বড় অর্জন। বিন সালমান বলেন, “এসব চুক্তির আওতায় অস্ত্রের একটা অংশ তৈরি হবে সৌদি আরবে যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে কর্মসংস্থান হবে; ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হবে, ভালো লাভ হবে এবং ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসবে। এর পাশাপাশি এসব পদক্ষেপ আমাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।”