সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হলেন বিতর্কিত সেই কাভানাহ

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেওয়া ব্রেট কাভানাহকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মার্কিন সিনেট। শনিবার সিনেটের এ সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে ৫০-৪৮ ভোটে সুপ্রিম কোর্টে নিজের নিয়োগ নিশ্চিত করেন ট্রাম্প মনোনীত কাভানাহ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অবস্থান আরও সংহত হলো।

শনিবার ভোটাভুটির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কাভানাহকে সমর্থন দেন দুই গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর। তারা হচ্ছেন রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর জোয়ে ম্যানকিন। মূলত তাদের সমর্থন পাওয়ায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিতর্কিত কাভানাহর নিয়োগ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ব্রেট কাভানাহ’র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে ওঠার মধ্যেই তার নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার খবর আসে।

কাভানাহ’র বিরুদ্ধে এফবিআই-এর তদন্তে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রিপাবলিকানরা দাবি করার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করে লাখো মানুষ। সেখান থেকে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও আটজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত। প্রেসিডেন্ট মনোনীত বিচারপতিদের নিয়োগ দেয় সিনেট। একবার নিয়োগ পাওয়ার পর পদত্যাগ, অবসর বা অভিশংসন ছাড়া ওই বিচারপতিরা আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ বছর বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। গত জুলাইয়ে ব্রেট কাভানাহকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেন ট্রাম্প।

কাভানাহর বিরুদ্ধে প্রফেসর ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ডসহ তিনজন নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে এফবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। শুরু থেকে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাঁচ দিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এফবিআই। জনসমক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হলেও ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা দাবি করতে থাকে, ওই প্রতিবেদনে কাভানাহকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আনাদোলু এজেন্সি।