ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান: দিল্লি হাইকোর্ট

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে বলে মনে করেন দেশটির আদালত। সোমবার সেনাবাহিনীর নার্সিং সার্ভিসে শুধু নারীদের নিয়োগের সমালোচনা করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট। এক পর্যবেক্ষণে এ ধরনের নিয়োগকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আদালত। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতে সেনাবাহিনীর নার্সিং শাখায় পুরুষদের নিয়োগ দেওয়া হয় না, এমন তথ্যের ভিত্তিতে আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন ও বিচারপতি ভিকে রাও।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আদালতের কাছে ছয় মাস সময় চান।

সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, পুরুষ নার্স নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিটি সেনাঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং তাদের মতামত নেওয়া হবে। এজন্য তিনি আদালতের কাছে বাড়তি সময় চান। তবে তার দাবি অগ্রাহ্য করে আদালত বলেন, ‘আমরা একটি ডিজিটাল দুনিয়ায় বাস করছি। ভিডিও কনফারেন্সে সবাইকে যুক্ত করে একটি সিদ্ধান্ত নিন।’

দ্য ইন্ডিয়ান প্রফেশনাল নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ভারতে কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত ও দক্ষ পুরুষ নার্স রয়েছে। সেনাবাহিনীর নার্সিং কর্পস থেকে তাদের বাদ দেওয়া অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। এর ফলে তারা তাদের কর্মসংস্থান এবং পেশাগত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়।