মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সমর্থনে উগ্রপন্থীদের মিছিল

 

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সমর্থনে মিছিল করেছে সে দেশের উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা। ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএস-কে উদ্ধৃত করে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত সেই মিছিলে অংশ নিয়েছে এক হাজারেরও বেশি উগ্রপন্থী। রোহিঙ্গা নিপীড়নের কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তের মুখোমুখি, ঠিক সেই সময় এই মিছিল অনুষ্ঠিত হলো।
noname

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার ইয়াঙ্গুনের সিটি হল বিল্ডিং-এর সামনে থেকে ওই মিছিল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জাতীয় পতাকা ও সেনাবাহিনীর প্রতি তুষ্টিমূলক বক্তব্য-সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে অংশ নেয় উগ্রবাদীরা।   

রবিবার সেনা-সমর্থনে অনুষ্ঠিত ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ‘বুদ্ধিস্ট বিন লাদেন’ খ্যাত উগ্রবাদী নেতা উইরাথু। গত বছর ‘ঘৃণাযুক্ত বক্তব্য’ প্রচারের অভিযোগে উইরাথুর জনসম্মুখে কথা বলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেষ্ঠ্য সন্ন্যাসীদের এক কাউন্সিল। মার্চে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। মিছিলে তিনি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিচারের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইসিসি যেদিন এখানে ঢুকবে.. সেদিন থেকেই আমি একটি বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে যাব’।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ।  রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিদ্বেষ ছড়িয়ে গেছেন উইরাথু। ফেসবুকও তাকে নিষিদ্ধ করেছিল। মিছিলে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি হুঁশিয়ার করেন,  ‘মিয়ানমারের ইসলামীকরণ ঘটাতে বাঙালিদের রোহিঙ্গা বানিয়ে বিশ্বকে মিথ্যা তথ্য দেবেন না’।