সাংবাদিক খাশোগিকে নিয়ে নতুন বয়ান দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর একজন তদন্ত কর্মকর্তার ভুলের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমনটা দাবি করবে তারা। এছাড়া ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যও ওই কর্মকর্তাকে দায়ী করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদি আরবের এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর প্রকাশ করেছে।

7d0005fcc6cc402bbe5badf282ec75d5_18

জামাল খাশোগি গত সপ্তাহে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের সৌদি কন্স্যুলেটে প্রবেশের পর আর বের হননি। সৌদি আরব অবশ্য বলছে, খাশোগি কন্সুল্যেট ভবন থেকে বের হয়ে গেছেন। তবে তুরস্কের পক্ষ থেকে এর প্রমাণ চাওয়া হলে তা সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে রিয়াদ। তুরস্কের দাবি, তাদের তদন্তকারীদের হাতে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তুরস্কে আসা ১৫ সদস্যের একটি সৌদি দল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার। এবার খাশোগি বিষয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের নতুন ভাষ্য হবে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খাশোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ বা আটক করে দেশে নিয়ে আসার বিষয়টি অনুমোদন করেন। কিন্তু গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা করতে ব্যর্থ হন। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভুলবশত তাকে হত্যা করেন। পরে ওই কর্মকর্তা নিজেকে বাঁচানোর জন্য বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর আগে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধরনের প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, আমি ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি শুনেছি কিন্তু কেউ জানে না এটা আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন কিনা। তাই এখন পর্যন্ত এটা গুজব। একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার গুজব।

তবে খবরে বর্ণিত এই বয়ান অস্বীকার করেছে নিখোঁজ সাংবাদিক খাশোগির বন্ধু, মানবাধিকার কর্মী ও মার্কিন রাজনীতিকরা।

খাশোগি একসময় সৌদি সরকারের উপদেষ্টা থাকলেও একপর্যায়ে সরকারের নানা কাজের সমালোচনা করা শুরু করেন এবং ২০১৭ সাল থেকে তিনি আমেরিকায় স্বেচ্ছা-নির্বাসনে চলে যান। সেখানে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।