২৭ অক্টোবর তুরস্কে ৪ দেশের সম্মেলন

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির সম্ভাব্য হত্যাকান্ড নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ২৭ অক্টোবর চার দেশের এক সম্মেলন আহ্বান করেছে তুরস্ক। শুক্রবার তুরস্কের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরব দেশটির দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে এই আলোচনায় অংশ নেবে তুরস্ক, জার্মানি, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার নেতারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইবরাহিম কালিন এক লিখিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র
গত মাসে সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে একটি নিরস্ত্রীকরণ এলাকা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি এই প্রদেশটিতে সরকারি বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা করতে ওই এলাকা প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানানো হয় ওই সময়ে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ওই এলাকা থেকে বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। তবে কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ এই সময়সীমা মানেনি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন ইদলিবে সরকারি বাহিনীর হামলা জোরালো হলে নতুন করে তৈরি হবে শরণার্থী সংকট। সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের প্রধান মিত্র রাশিয়া। আর আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাওয়া বিদ্রোহী কয়েকটি গ্রুপকে সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক।

লিখিত বিবৃতিতে কালিন বলেন, সিরিয়া সংঘাতের মাঠ পরিস্থিতি, ইদলিব চুক্তি ও সংঘাত অবসানের পদক্ষেপসহ সব প্রেক্ষিত নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জার্মান সরকারের মুখপাত্র মার্টিনা ফেইটজ জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মানবিক বিপর্যয় ও নতুন শরণার্থী ঢল ঠেকাতে ইদলিবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর চায় প্যারিস। এছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৫৪ প্রস্তাবের ভিত্তিতে দেশটিতে অংশগ্রহণমূলক একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুও দেখতে চায় তারা। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকবে এই লক্ষ্য দুটি।

নিরাপত্তা পরিষদের ২২৫৪ প্রস্তাবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিরিয়ার সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক পালাবদলের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলা হয়েছিল।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও সিরিয়ার ওই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়া বলছে তারা রাজনৈতিক মীমাংসা এবং সিরীয় শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।