রাশিয়া ও চীনকে চাপে রাখতে পরমাণু শক্তি বাড়ানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

রাশিয়া ও চীনকে চাপে রাখতে পরমাণু শক্তি বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,  তিনি এখনও মনে করেন রাশিয়া আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

_103966586_050122994-1ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্স (আইএনএফ) চুক্তি অনুযায়ী, স্থল থেকে উৎক্ষেপিত মধ্যমপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে দিবে না, যার অনুমতি তাদের নেই।

তবে রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ক্রেমলিন থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নিলে বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেতে পারে।

এদিকে ট্রাম্প বলেন, ‘যতক্ষণ না সবার ভেতরে বোধ আসবে ততদিন অস্ত্র তৈরি করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘চীন বা রাশিয়া যেই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলুক, এটা তাদের জন্য হুঁশিয়ারি।

এদিকে সোমবার মস্কো পৌঁছেছেন মার্কিন নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার। মূলত ট্রাম্পের বক্তব্যের পর চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সেই প্রেক্ষিতেই আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন দুই নেতা।

স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এসএস-২০ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। মার্কিন মিত্ররা তখন যুক্তরাষ্ট্রের পারসিং ও ক্রুজ মিসাইল নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। এই ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। পরে এই আইএনএফ চুক্তির মাধ্যমেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনলেও প্রেসিডেন্ট ওবামা কখনোই এই চুক্তি থেকে সরে আসতে চাননি। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে আবারও বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেতে পারে।