আগামী মাসে শুরু হবে ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা: পম্পেও

চার বছর ধরে চলা ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধে আগামী মাসে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনা শুরুর কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের মিসাইল ও ড্রোন হামলা বন্ধ করতে হবে। অপরদিকে ইয়েমেনের জনবহুল এলাকায় সৌদি জোটের বিমান হামলা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের মুখোমুখি ইয়েমেন
চার বছর ধরে গৃহযুদ্ধের কবলে থাকা আরব বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ ইয়েমেন এখন বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উৎখাত করে রাজধানী সানার দখল নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। রিয়াদে নির্বাসিত হাদিকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে ইয়েমেনে হামলা শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কয়েকটি পশ্চিমা দেশের জোট। এই হামলায় রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ হারালেও দেশের বিস্তৃত এলাকার দখল এখনও ধরে রেখেছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা।

এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পম্পেও বলেন, এখন সময় লড়াই বন্ধ করার। বন্ধ করতে হবে হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভ্যন্তরে চালানো মিসাইল ও ড্রোন হামলা। একইভাবে বন্ধ করতে হবে  ইয়েমেনের জনবহুল এলাকায় জোটের বিমান হামলা।

ইয়েমেন যুদ্ধে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ না থাকলেও ইয়েমেনে হামলায় ব্যবহৃত সৌদি জোটের বিমানগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করে তারা। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে জোট সদস্য দেশের সেনাদের প্রশিক্ষণও দেয় তারা। গত মাসে পম্পেও বলেছেন, কংগ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন ইয়েমেনে বেসামরিক মানুষ হতাহতের সংখ্যা কমাতে কাজ করছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জোট।

ইয়েমেনের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ বা ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ মানবিক ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল আর ৮৪ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

এই মাসের শুরুতে ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত মার্টিন গ্রিফিথস বলেছিলেন, নভেম্বরের মধ্যে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরুর আশা করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের উদ্যোগকে স্বাগত জানান পম্পেও ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস।