গৃহকর্মীর ফাঁসি, সৌদি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ইন্দোনেশিয়ার

সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা এক ইন্দোনেশীয় নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাকার্তা। ধর্ষণ থেকে আত্মরক্ষায় বাধ্য হয়ে নিজের নিয়োগকর্তাকে হত্যার ঘটনায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নারীর পরিবার বা ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে না জানিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইন্দোনেশিয়া।

Tuti Tursilawatiইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সৌদি আরবের তায়েফ শহরে তুতি তোরসিলাওয়াতি নামের ওই গৃহকর্মীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। নিজের নিয়োগকর্তাকে হত্যার অভিযোগে সাত বছর আগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে তোরসিলাওয়াতি জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়াকে না জানিয়ে দেশটির একজন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় রিয়াদের সমালোচনা করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক লালু মোহাম্মাদ ইকবাল। তিনি বলেন, ‘রিয়াদ বা জেদ্দায় আমাদের কোনও প্রতিনিধিকে না জানিয়ে তুতি তোরসিলাওয়াতির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের এক সপ্তাহের মাথায় তুতি তোরসিলাওয়াতির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ওই বৈঠকে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

তুতির ফাঁসির ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, সরকার রিয়াদের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশটিতে অবস্থানরত ইন্দোনেশীয় কর্মীদের উন্নত সুরক্ষার দাবি জানাচ্ছে।

এ নিয়ে গত তিন বছরে চার ইন্দোনেশীয় কর্মীর মৃতুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব যাদের কারও দণ্ড কার্যকরের আগে জাকার্তাকে অবহিত করেনি রিয়াদ।

মাইগ্রেন্ট কেয়ার নামের একটি ইন্দোনেশীয় এনজিও তুতি তোরসিলাওয়াতি’র ফাঁসির তীব্র সমালোচনা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। সূত্র: আল জাজিরা।