দক্ষিণ এশিয়াকে পাশে চায় শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরৎ আমুনুগামাশ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক ঢামাঢোল চলছে। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে কলম্বো, যাতে কোনও বিদেশি শক্তি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরৎ আমুনুগামা সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করে এই আহ্বান জানান।

ঢাকা ও কলম্বোর বিভিন্ন সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা হঠাৎ করে তার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংগেকে বরখাস্ত ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এরপরই দেশটিতে রাজনৈতিক গোলযোগ শুরু হয়।

কলম্বোর বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর পার্লামেন্ট বসবে এবং মাহিন্দা রাজাপাকশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন। ২২৫ আসনের এই পার্লামেন্টে রাজাপাকশেকে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।

জানা গেছে, রাজাপাকশে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পরপরই চীনের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে দেখা করেন।

প্রসঙ্গত, সিরিসেনা ও রাজাপাকশে দুজনই বাংলাদেশ সফর করেছেন। কলম্বোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ঢাকা। আকস্মিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ২৮ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী অর্জুনা রানাতুঙ্গা তার অফিসে ঢোকার সময় সেখানকার রক্ষীরা গুলি ছোড়ে। এতে একজন নিহত ও দুইজন আহত হন।

পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ পৃথক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কাকে সংবিধান অনুসরণ করে চলতে এবং রাজনৈতিব সংঘর্ষ পরিহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনাকে লেখা চিঠিতে সংসদের স্পিকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রানিল বিক্রমাসিংগেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে ডেপুটি স্পিকার রাজাপাকশের মনোনয়নকে সমর্থন দিয়েছেন।