অবশেষে গুলি করে মারা হলো মানুষখেকো সেই বাঘিনীকে

 

অবশেষে মেরে ফেলা হলো মহারাষ্ট্রের পাঙ্কারকাওড়ার বাঘিনী টি-১ এর। টাইমস অব ইন্ডিয়া খবর দিয়েছে, নাগপুরের ইয়াভাতমাল জঙ্গলের ভেতরে এটিকে গুলি করে মারা হয়েছে। তারা বলছে, তবে ঘুম পাড়িয়ে ধরার চেষ্টার বদলে গুলি করে একে মারার ঘটনায় বনবিভাগ নিজেদেরই বিধি ভঙ্গ করেছে। এই ঘটনায় সর্বোচ্চ আদালতের আদেশও অমান্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই সংবাদমাধ্যম।

অন্তত ১৩ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ টি-১ নামের ওই বাঘিনী। আশপাশের গ্রামবাসী সবসময় তটস্থ থাকতো এর ভয়ে। বাঘিনীটিকে ধরার জন্য তাই আয়োজিত হয় মহাযজ্ঞ। বনবিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ২শ বন কর্মী, ৬০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন, স্লিফার ডগ ছিল অভিযানে।  হত্যার পর বাঘটির মরদেহ নাগপুরের গোরেওয়াডা রেসকিউ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বাঘিনীটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাতে একটি বুলেটের আঘাতে মৃত্যু হয় ওই বাঘিনীর। হায়দারাবাদের শ্যুটার নবাব শাফাত আলি খানের ছেলে আসগর আলি খান শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই বাঘিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তবে বিধি অনুযায়ী তার সঙ্গে বনবিভাগের কোনও পশু চিকিৎসকের থাকার কথা থাকলেও সেই নিয়ম মানা হয়নি।

উচ্চ আদালত ও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল, বাঘকে ঘুম পাড়িয়ে ধরার চেষ্টা করা হবে আগে। সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তবেই কেবল বাঘিনীকে গুলি করে মারা হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, গত দু’মাসের চলমান অভিযানে একটিবারের জন্যও সেই চেষ্টা করা হয়নি। এতে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের। তাদের পক্ষ থেকে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।