ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে একহাত নিলেন ট্রাম্প

ভিন্নমতের ওপর চড়াও হতে বরাবরই সিদ্ধহস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে যুক্ত হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র সমস্যা হচ্ছে, ফ্রান্সে তার গ্রহণযোগ্যতা খুবই কম, মাত্র ২৬ শতাংশ। বেকারত্বের হার প্রায় ১০ শতাংশ। ফলে সে অন্য একটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে। যাই হোক, ফ্রান্সের চেয়ে বেশি আর কোনও জাতীয়তাবাদী দেশ নেই। তাদের জনগণ খুবই গর্বিত এবং এটাই সঠিক। ফ্রান্সকে আবার মহান করে তুলুন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পট্রাম্প বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে রক্ষার জন্য ইউরোপকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। খুব অপমানজনক, কিন্তু এর আগে ইউরোপকে ন্যাটোর ব্যয় বহন করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে অনেক ভর্তুকি দিচ্ছে।

ইউরোপীয় বাহিনী গঠনে ম্যাক্রোঁ’র প্রস্তাবের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুটিতেই জড়িত ছিল জার্মানি। তারা কিভাবে ফ্রান্সের জন্য কাজ করবে?

এর আগে মঙ্গলবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে একটি সত্যিকার ইউরোপিয়ান আর্মি গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদেরকে চীন, রাশিয়া, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে রক্ষায় নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে।

সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ উল্লেখ করেন, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র অনির্ভরযোগ্য মিত্রতে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুধু ফরাসি প্রেসিডেন্টই নয়, বরং ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেকে বাদ পড়েনি বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে শুরু করে নিজ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। সিএনএন ও বাজফিডের মতো সংবাদমাধ্যম এমনকি প্রভাবশালী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’কেও হজম করতে হয়েছে তার কটু মন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ধমক দিয়ে ফোন রেখে দেওয়ার মতো কাণ্ডও ঘটিয়েছেন এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি। ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘জার্মানরা খারাপ, খুব খারাপ... তারা যে যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ গাড়ি বিক্রি করে, সেদিকে তাকান। ভয়াবহ। আমরা এগুলো বন্ধ করবো।’ ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, তিনি অনেক বড় ভুল করেছেন এবং সেটা হচ্ছে, যে কোনও জায়গা থেকে আসা অবৈধ (শরণার্থী) মানুষদের গ্রহণ করা।’ সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ডয়চে ভেলে।