সদ্য মা হলেও ব্রেক্সিট ভোট বাদ দিতে চান না টিউলিপ

চিকিৎসকের নিষেধ অমান্য করে হলেও ব্রিটিশ সংসদের পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে (ব্রেক্সিট ভোটে) অংশ নিতে চান লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

টিউলিপ সিদ্দিক

 

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনের এই সংসদ সদস্য এখন দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইস্যুটি তার সংসদীয় আসনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর এখানকার মানুষদের প্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্টে নিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ বলেন, আমার সি-সেকশন (সিজারিয়ান অপারেশন) হবে, ‘ডাক্তারের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে আসবো। কারণ, ব্রেক্সিটে ভোট দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই’। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও উপায় নেই। আমি এমন এক আসনের প্রতিনিধিত্ব করছি, যেখান ৭৫ শতাংশ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতেই আমি সবচেয়ে বেশি লবিং করেছি। সে কারণে আমি ভোট দিতে আসবো।’

টিউলিপ বলেন, তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘পেয়ারিং ব্যবস্থা’র ওপরে আস্থা হারিয়েছেন। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী যখন কোনও এমপি ছুটিতে থাকেন তখন তার হয়ে আরেকজন এমপি ভোট দিতে পারেন, যেন পার্লামেন্টের ভোটদান প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু অনেকেই এই প্রক্রিয়া সমর্থন করছেন না।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া নিয়ে পার্লামেন্টারি ভোটাভুটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার দেশটির মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সেখানে ৫০০ পৃষ্ঠার একটি খসড়া চুক্তি তুলে ধরেন তিনি। ব্রিটিশ সরকার জানায়, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রাথমিক খসড়া চুক্তির ওপর আলোচনায় সম্মত হয়েছে। সেই অনুযায়ী আগামী বছর মার্চে ইইউ থেকে বের হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য।

মন্ত্রিসভা চুক্তিতে সম্মত হতে ব্যর্থ হলে ইউরোপীয় কমিশন এর বিস্তারিত তুলে ধরবে। বাকি ২৭টি দেশের প্রতিনিধিরা চলতি মাসেই একটি জরুরি সম্মেলনের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলবেন। সেটা হতে পারে ২৫ নভেম্বর। ডিসেম্বরে চূড়ান্ত আলোচনার আগে ব্রিটিশ সরকার দেশটির পার্লামেন্টের অনুমতি নেবে। নতুন বছরেও গড়াতে হতে পারে সেই আলোচনা। মার্চের ২৯ তারিখ চূড়ান্তভাবে ইইউ থেকে বের হওয়ার কথা ব্রিটেনের।