ইয়েমেনের হুদাইদাতে বন্ধ রয়েছে সহিংসতা

ইয়েমেনের বন্দরনগরী হোদাইয়াহতে আপাতত সহিংসতা বন্ধ রেখেছ সব পক্ষ। বুধবার রাত থেকে সেখানে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইয়েমেনি সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যকার এক সমঝোতায় সব রকম সামরিক অভিযান বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আমালিকা ব্রিগেডের প্রেস প্রধান আসিল এসসাক্লেদি।

thumbs_b_c_c8cedadc6593235abd83f72e821382b8

বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, শুধুমাত্র নভেম্বরের ৩ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে সৌদি আরবের যুদ্ধ জোটের হামলায় ইয়েমেনে ৬০০ হুথি নিহত হয়েছে। গত তিন বছর ধরে ইয়েমেন যুদ্ধ চলতে থকায় দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেশটির জনগণ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। সৌদি আরবের বিমান হামলায় দেশটির হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, ক্লিনিকের মতো স্থাপনা। তারওপর হুদাইদা বন্দরকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ চলতে থাকায় খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা দুরুহ হয়ে পড়ছে। অথচ দেশটির উত্তর অংশে থাকা জনগণের জন্য ত্রাণ পৌঁছাবার ক্ষেত্রে হুদাইদাই একমাত্র পথ। উত্তর ইয়েমেনেই দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বাস।বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক চাপের প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ জোট শান্তি আলোচনার পথ তৈরির জন্য হামলা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়

আসিল বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যেন খাবার পৌঁছাতে পারে এবং বেসামরিকদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপদ পথ তৈরি করেছে।

হুথি বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানায়, অস্ত্রবিরতি নিয়ে কিংবা রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রথামন মার্ক লোকক বলেন, মঙ্গলবার দুর্গতদের মাঝে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ হিসেবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে স্থিতিশীল করা। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।