খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ১৭ সৌদির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ১৭ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ইস্তানবুলের সৌদি কনসুল জেনারেল মোহাম্মদ আল ওতাইবিও রয়েছেন। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

thumbs_b_c_aeea1dfb14c3b6d2f239c8c58b3c661eযুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এই ঘটনার পর সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্বজুড়ে। খাশোগির নিখোঁজের ঘটনায় নানা বিভ্রান্তিমূলক বর্ননা হাজিরের প্রায় ১৫ দিন পর খাশোগিকের হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। রিয়াদের তরফ থেকে দাবি করা হয় সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করে কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটরের দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগের পর ধস্তাধস্তির পর হত্যা করা হয় খাশোগিকে।

মার্কিন ট্রেজারি দফতর জানায়, ওতাইবি ছাড়াও সাউদ আল খাতানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাও এর সঙ্গে জড়িত ছিলো উল্লেখ করে তারা জানায়, তার সহযোগী মাহের মুতরেবসহ আরও ১৪ জনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এই ১৭ জনই খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো।

অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিন বলেন, এই ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক সাংবাদিককে হত্যা করেছে। তাদের অবশ্যই এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম। যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও তদন্তকারীদের মুখে বারবারই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তার নাম এসেছে।

নুচিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত চালিয়ে যাবে এবং দোষী সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে। খাশোগির বাগদত্তা, সন্তান ও পরিবারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে তারা।

একইরকম কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ড বিচারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র দফতর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে।