জলবায়ু পরিবর্তন: স্কুল পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে অস্ট্রেলিয়ার হাজার হাজার শিক্ষার্থী। শুক্রবার স্কুল পালিয়ে এসব শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে যোগ দেয়। শিক্ষার্থীরা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কুল চলাকালীন এই ‘অ্যাক্টিভিজমের’ পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছিলেন। জোর দিয়ে তিনি দাবি করেন তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তা সত্ত্বেও শুক্রবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্য তাদের বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টার অংশ। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ১৭ বছর বয়সী জগভির সিং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, আজ তারা (রাজনীতিবিদরা) যে সিদ্ধান্ত নেবেন তার দুর্ভোগ আমাদেরই পোহাতে হবে।অস্ট্রেলিয়ার বহু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শুক্রবারের বিক্ষোভ আয়োজনকারীরা বলছেন, সুইডেনের ১৫ বছর বয়সী গ্রেতা থানবার্গের অনুপ্রেরণাতেই বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন তারা। ওই স্কুল শিক্ষার্থীও সুইডেনে একই ধরণের বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন। স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রটেস্ট নামের এই বিক্ষোভ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি রাজ্যের রাজধানী এবং ২০টি আঞ্চলিক শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

অস্ট্রেলিয়ার সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২০০৫ সালের পর্যায় থেকে ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সাল নাগাদ কমিয়ে আনা হবে। অস্ট্রেলিয়ার অগ্রগতির প্রমাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মরিসন সম্প্রতি তার সরকারের নবায়নযোগ্য শক্তি লক্ষ্যমাত্রা, ক্লিন এনার্জি ক্রয় তহবিল গঠন ও একটি হাইড্রোপ্রজেক্ট নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তবে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ বলেছে অস্ট্রেলিয়া এবং অন্য অনেক দেশই কার্বন নিঃসরণ প্রতিশ্রুত মাত্রায় নামিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। কার্বন নিঃসরণ গ্যাপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর অস্ট্রেলিয়া তাদের জলবায়ু পরিবর্তন নীতিতে কোনও উন্নতি করেনি। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিক্ষোভের ডাক দেয় স্কুল শিক্ষার্থীরা।

তবে সোমবার পার্লামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, আমরা চাই স্কুলে বেশি পড়াশোনা আর কম অ্যাক্টিভিজম হোক। জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাট ক্যানাভানও বিক্ষোভকারীদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি বলেন, স্কুল থেকে বের হয়ে আর বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখবে না।