কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবারের (৯ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্যও আহত হয়। নিহতদের জঙ্গি বলে দাবি করেছে রাজ্য পুলিশ।

কাশ্মির পুলিশ
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল.ইন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শ্রীনগরের মুজগান্ড এলাকায় শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ওই কথিত বন্দুকযুদ্ধ রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত চলেছে।

এক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে স্ক্রল.ইন জানায়, মুজগান্ড এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকা ঘিরে ফেলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। রাত গভীর হওয়ার পর গোলাগুলি বন্ধ রাখা হয় এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে চারপাশ ঘেরাও করে রাখে নিরাপত্তা বাহিনী।

গ্রেটার কাশ্মিরকে উদ্ধৃত করে স্ক্রল.ইন জানায়, শনিবার বন্দুকযুদ্ধ স্থগিত হওয়ার পর সেখানে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের এলাকায় বিক্ষোভকারীরা যেন পৌঁছাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আবারও বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় এবং এবং একপর্যায়ে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে নিরাপত্তা বাহিনী।

ওই ঘটনার জেরে শ্রীনগরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কাশ্মিরে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। কেউ কেউ আবার কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে। ইতিহাস পরিক্রমায় ক্রমেই সেখানকার স্বাধীনতা আন্দোলনের ইসলামীকিকরণ হয়েছে। এখন সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল মুজাহিদীন সবচেয়ে সক্রিয়। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মিরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতার থেকে আলাদা শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।

রবিবার (৯ ডিসেম্বর)-এর অভিযানে নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।