পুরস্কারের অর্থ ইয়াজিদিদের কল্যাণে ব্যয় করবেন নাদিয়া

শান্তিতে নোবেলজয়ী ইয়াজিদি মানবাধিকারকর্মী নাদিয়া মুরাদ তার পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ ইয়াজিদিদের কল্যাণে ব্যয় করবেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ অর্থ নাদিয়া’স ইনিশিয়েটিভকে দেবেন তিনি।

নাদিয়া মুরাদ
যৌন নিপীড়নকে যুদ্ধের হাতিয়ার করার প্রচেষ্টা বন্ধে ভূমিকা রাখায় গত অক্টোবরে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতে নেন কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে ও ইয়াজিদি তরুণী নাদিয়া মুরাদ। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণ করেন তারা। পুরস্কারের ১০ লাখ ডলার অর্থ দুজন ভাগাভাগি করে নেবেন।  

আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নাদিয়া তার ৫ লাখ ডলার পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ নাদিয়া’স ইনিশিয়েটিভকে দেবেন। তার উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ সংস্থাটি ইয়াজিদিদের ওপর সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। ইয়াজিদিদের ওপর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনআইএস-এর চালানো যুদ্ধাপরাদের তদন্ত করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওপরও চাপ দিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি।

২৫ বছর বয়সী নাদিয়া মুরাদ শান্তিতে নোবেল পাওয়া দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি। এর আগে, ১৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে শান্তিতে নোবেল পান মালালা ইউসুফজাই। ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

ইয়াজিদি তরুণী নাদিয়া সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিজেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং অন্য ধর্ষণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। ২০১৪ সালের আগস্টে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সদস্যরা ইরাকে অন্য ইয়াজিদি নারীদের সঙ্গে নাদিয়া মুরাদকেও অপহরণ করেছিল। সিনজারের কোচো থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। আইএস-এর সদস্যরা নাদিয়ার ছয় ভাই ও মাকে হত্যা করেছিল। তার বোনদেরকেও অপহরণ করে আইএস। ধর্ষণের শিকার হওয়া ও অন্যদের ধর্ষণের শিকার হতে দেখা এ নারী সাহসীভাবে সেই সহিংসতার কথা বর্ণনা করেছিলেন। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) এ দুই নোবেল বিজয়ীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।