হুদাইদায় যৌথ নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত: জাতিসংঘ

ইয়েমেনের বন্দরনগরী হুদাইদাতে তাদের তত্ত্বাবধানে যৌথ নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। তারা জানায়, জাতিসংঘের নজরদারিতে হুথি বিদ্রোহী ও আবদ রাব্বু মনসুর হাদির সরকারের যৌথ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

dd1567e1a6dde43f5d791856ca3711c6-5bf409ddf0df8২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। হুথি ও সালেহ জোট রাজধানী সানা দখল করলে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাদি সৌদি আরবে নির্বাসনে যান। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালানো শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য, দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ হিসেবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে স্থিতিশীল করা। বন্দরনগরী হুদাইদার নিয়ন্ত্রণ নিতেই চলছে শেষ লড়াই।  ইয়েমেন ইস্যুতে জাতিসংঘের তত্তাবধানে সুইডেনে শান্তি আলোচনায় বসেছে হুথি বিদ্রোহী ও সরকার পক্ষ। সেখানেই জাতিসংঘ এই প্রস্তাব দেয়।

ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, হুদাইদাই মূলত যুদ্ধের কেন্দ্র। আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই যুদ্ধ নিরসনে ‘বিস্তারিত ও কার্যকরী’ প্রস্তাবনা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জাতিসংঘ জানায়, এই বন্দরনগরী তাদের তত্ত্বাবধানে আসতে হবে। আর সেই ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে হুথি বিদ্রোহী ও সরকারকে। গ্রিফিত বলেন যে তিনি সানা বিমানবন্দরে অবরোধ তুলে নিতে সৌদি জোটকে বোঝাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন।  তিনি বলেন, আশাই আমাদের মধ্যস্থতরা মূল মুদ্রা।

সামনের বছরে আবারও সবপক্ষকে নিয়ে বসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান গ্রিফিত।   

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ হিসেবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে স্থিতিশীল করা। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন