রাবার গ্লোব প্রস্তুতকারক ভুল কিছু করেনি: মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী

কর্মীদের অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করাতে গিয়ে টপ গ্লোব কর্পোরেশন বারহাদ কোনও আইন ভাঙেনি বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী এম. কুলাসেগারান। তিনি এবং তার কর্মকর্তারা ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত রাবার গ্লোব কোম্পানিটির কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান তিনি। মালয়েশিয়ার সংবাদপত্র দ্য স্টার অনলাইন জানিয়েছে সোমবার(১০ নভেম্বর) ক্লাংয় শহরে টপ গ্লোবের কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। টপ গ্লোবের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. লিম উয়ি চাই এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।টপ গ্লোবের কারখানা সম্পর্কে কুলাসেগারানকে জানাচ্ছেন ড. লিম উয়ি চাই

গত ৯ ডিসেম্বর  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টপ গ্লোবের কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করা, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করানো এবং ঋণের ফাঁদে আটকানোর অভিযোগ তোলা হয়। কারখানায় কর্মরত নেপালের আটজন এবং বাংলাদেশের আটজন অভিবাসী শ্রমিক গার্ডিয়ানের কাছে টপ গ্লোবের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে। তারা দাবি করে সপ্তাহে সাত দিন কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করানোর পাশাপাশি মাসে একদিন ছুটি দেওয়া হয়। খবরে বলা হয়, টপ গ্লোবসহ আরেক গ্লোব উৎপাদক ডব্লিউআরপি তাদের পণ্য ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে সরবরাহ করে।

অভিযোগের পর কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী। শীর্ষ এই রাবার প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি ভুল কিছু করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মীদের জন্য তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি (ম্যাকানিজম) রয়েছে এবং আমার মন্ত্রণালয়ের জানা মতে তারা আইনি কাঠামোর মধ্যে কাজ করে’। চাকরি (অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সীমাবদ্ধতা) নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৮০ ঊদ্ধৃতি করে মন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতি মাসে ১০৪ ঘণ্টার অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ না করতে কর্মীরা বাধ্য। ‘এটা চাকুরিদাতার দিকেই যায়’, মন্তব্য করে তিনি বলেন চাকুরিদাতারাও নিয়ম মানতে বাধ্য।

কুলেসাগারান এবং তার কর্মকর্তারা টপ গ্লোবের ৩৫টি কারখানার মধ্যে ২২টি কারখানার কর্মপরিবেশ পরীক্ষা করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কিভাবে এই অভিযোগ উঠলো তা নিয়ে আমি নিশ্চিত না। তিনি বলেন, ‘ফেইক নিউজ ছড়ানো’ উচিত হবে না। প্রতিষ্ঠাতা লিম বলেন, মালয়েশিয়ার শীর্ষ রাবার গ্লোব রফতানিকারক কোম্পানি হিসেবে তারা ব্যবসায়িক নৈতিকতা, শ্রদ্ধা, সততা এবং স্বচ্ছতা অনুসরণ করে থাকেন।