ফ্রান্সে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, আহত ১১

ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবুর্গে এক বন্দুকধারীর গুলিতে দুই জন নিহত ও অপর ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, এক সেনা সদস্যের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে আহত বন্ধুকধারীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শহরের কেন্দ্রীয় স্কয়ারের একটি ক্রিসমাস মার্কেটের কাছে এই গোলাগুলির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ফ্রান্সের কাউন্টার টেররিজম প্রসিকিউটর।noname
ফ্রান্সের বিএফএম টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, একটি ডাকাতির ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিউডর্ফ জেলায় ওই ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালালে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গ্রেনেড উদ্ধার করে। অসমর্থিত সূত্রে তাকে চিহ্নিত এবং পুলিশ কোনঠাসা করে রাখার খবরের প্রকাশের পর নিউডর্ফের বাসিন্দাদের ঘরের অভ্যন্তরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্ট্রাসবুর্গের বিখ্যাত ক্রিসমাস মার্কেটের কাছে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী পেটার ফ্রিৎজ বিবিসিকে বলেছেন, তিনি বন্দুকের গুলির শব্দ শুনেছেন আর গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে সেতুর ওপর পড়ে থাকতে দেখেছেন। তিনি ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করলেও তার আগেই লোকটি মারা যায়।

স্থানীয় সাংবাদিক ব্রুনো পোসার্ড টুইটারে লিখেছেন, সিটি সেন্টারের রাস্তায় তিনি বহু গুলির শব্দ শুনেছেন। শুরুতে একটি দুটির পরে একাধারে বলে লিখেছেন তিনি। স্থানীয় এক দোকানি বিএফএম টেলিভিশনকে বলেছেন, গুলি শুরু হলে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে আর তা প্রায় দশ মিনিট স্থায়ী হয়।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফে কাস্টানার দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে একে ‘মারাত্মক জননিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার হুমকি হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ফ্রান্সের নিস শহরে বাস্তিল দিবস উদযাপন সমবেতদের ওপর ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হলে ৮০ জনেরও বেশি নিগত হয়। এছাড়া ২০১৫ সালে প্যারিসে কয়েকটি সংঘবদ্ধ হামলায় নিহত গয় ১৩০ জন। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এসব হামলার দায় স্বীকার করে।