স্ট্রাসবার্গ বন্দুক হামলার পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সন্দেহভাজনকে হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফরাসি পুলিশ কর্তৃপক্ষ। উগ্রবাদী তৎপরতার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা করছে তারা। সীমান্ত ও পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবার্গে নিরাপত্তা জারির পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছেন ৩৫০ জন পুলিশ। তবে উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী এরইমধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পেটার ফ্রিৎজ বিবিসিকে বলেছেন, তিনি বন্দুকের গুলির শব্দ শুনেছেন আর গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে সেতুর ওপর পড়ে থাকতে দেখেছেন। তিনি ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করলেও তার আগেই লোকটি মারা যায়। ফ্রান্সের বিএফএম টিভির মতে, হামলাকারী একটি ট্যাক্সিতে করে পালিয়ে যায়। নুডর্ফের একটি থানার কাছেই নামেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই কোথাও বাস করেন হামলাকারী। ওই ট্যাক্সিচালক জানান, হামলাকারী বাম পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। এই ঘটনার পর নুডর্ফের বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যেই থাকার আহ্বান জানানো হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টনার বলেন, তারা ‘জরুরি হামলা সতর্কতা’ জারি করেছেন। এতে করে পুলিশ তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহারের এখতিয়ার পাবে। এছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তাও জরুরি করা হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে ইতোমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ওই হামলাকারী। দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হামলাকারী এখন আর ফ্রান্সে অবস্থান নাও করতে পারে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে সব বাজারেও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। স্ট্রাসবার্গের মেয়র রোল্যান্ড রাইস বলেন, বুধবার বড়দিনের বাজার বন্ধ থাকবে এবং স্থানীয় টাউনহলে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের নিস শহরে বাস্তিল দিবস উদযাপন সমবেতদের ওপর ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হলে ৮০ জনেরও বেশি নিগত হয়। এছাড়া ২০১৫ সালে প্যারিসে কয়েকটি সংঘবদ্ধ হামলায় নিহত গয় ১৩০ জন। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এসব হামলার দায় স্বীকার করে।