খাশোগি ইস্যুতে ফের ব্রিফিং করলেন সিআইএ প্রধান

ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাশোগি’র নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফের ব্রিফিং করলেন সিআইএ প্রধান গিনা হাসপেল। বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নেতাদের এ বিষয়ে অবগত করেন তিনি। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ পর্যন্ত গোয়েন্দাদের হাতে আসা নানা তথ্য সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।

জামাল খাশোগিএর আগে গত ৪ ডিসেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও অনুরূপ ব্রিফিংয়ে অংশ নেন সিআইএ প্রধান।

ইতোমধ্যেই সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর খাশোগি হত্যার অডিও রেকর্ড শুনেছেন সিআইএ প্রধান গিনা হ্যাসপেল। সিআইএ এরইমধ্যে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) অবশ্যই খাশোগিকে হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ ছিলেন।

সিআইএ’র রুদ্ধদ্বার ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া মার্কিন সিনেটররা মনে করেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ডে অবশ্যই সৌদি যুবরাজ জড়িত।

মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনদেজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার মতামত আগে যা ছিল, এখন তা আরও জোরালো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি যুবরাজের লোকজনই সমন্বিতভাবে এটি ঘটিয়েছে এমন উপসংহারে পৌঁছাতে না চাইলে আপনাকে জেনেশুনে অন্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, দৃশ্যত ট্রাম্প প্রশাসন এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার প্রমাণের বিষয়টি স্বীকার করতে চায় না।

সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর বব করকার। তিনি বলেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই যে এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এ ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই।

বব করকার বলেন, বিচারের মুখোমুখি হলে ৩০ মিনিটের মধ্যে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব।

এদিকে সিআইএ’র মূল্যায়ন আর সিনেট সদস্যদের আবেদন সত্ত্বেও সৌদি যুবরাজের পাশে থাকার ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমবিএস-কে সৌদি নেতা আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী রাষ্ট্রের পাশে আছেন তিনি।

ওভাল অফিসে এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি সৌদি আরবের নেতা। তারা আমাদের খুব ভালো বন্ধু’।  সৌদি আরবের পাশে দাঁড়ানোর অর্থ যুবরাজের পাশে দাঁড়ানো কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এই মুহূর্তে এটা ঠিক তাই’। সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা।