যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও হুদাইদাহতে সংঘর্ষ

ইয়েমেনের বন্দর নগরী হুদায়ইদাহতে আবারও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সমর্থিত শান্তিচুক্তিতে সবপক্ষ রাজি হলেও এক স্থানীয় জানিয়ছে এখনও লড়াই চলছে সেখানে। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদভিত্তিক ব্রিটিশ পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

2017_9_12-Saleh-Houthi-allianceDKE4M_9XoAA4jKu

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় লোহিত সাগরের বন্দর শহর হুদাইদাহতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলো। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, হুদাইদাহতে নিরপেক্ষ বাহিনী মোতায়েন ও একটি মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার বিষয়েও সম্মতি হয়েছে। এছাড়া সংকট সমাধানে একটি রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের আগামী বছরের জানুয়ারিতে পরবর্তী ধাপের আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়।

তবে শনিবার এক স্থানীয়কে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, শহরটির পূর্বাঞ্চলে এখনও গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।  ওই স্থানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে।  অস্ত্রবিরতি চুক্তির পর সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও সম্মতি প্রকাশ করেছিলো হুথি বিদ্রোহীরা।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী-শিশুও রয়েছে। অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর এই যুদ্ধের সমালোচনা তীব্র হতে থাকে। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে মানবিক সহায়তার জন্য ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।