ফিলিস্তিনের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে সৌদি আরবের মিত্র বাহরাইন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগ ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বাহরাইন সৌদি আরবের মিত্র হিসেবে পরিচিত। এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ইতোপূর্বে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের অভিন্ন স্বার্থের খোলামেলা স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। বলপূর্বক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বের অধিকারের পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইসরায়েলিদেরও তাদের নিজেদের ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ‘অধিকার’ রয়েছে।
২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে যে চার আরব দেশ কাতারবিরোধী অবরোধের ঘোষণা দেয়, তাদের মধ্যে একটি বাহরাইন।
এদিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতির বিষয়ে বাহরাইনের বিপরীত অবস্থান নিয়েছে মালয়েশিয়া। পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
মাহাথির সাংবাদিকদের বলেন, জেরুজালেম এখন যেমন আছে তেমনটাই থাকা উচিত, ইসরায়েলের রাজধানী নয়।
মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেরুজালেম সবসময় ফিলিস্তিনের আওতায় ছিল। এখন কেন ফিলিস্তিনিদের কাছে না দিয়ে তারা জেরুজালেম যাদের নয় তাদের সঙ্গে ভাগ করছে, কেন আরব ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করার উদ্যোগ নিচ্ছে? এই অধিকার তাদের নেই।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট সমাধানে দুই রাষ্ট্র নীতির সমর্থক। জেরুজালেম মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের কাছে পবিত্র স্থান। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে সবচেয়ে বড় বিরোধের ক্ষেত্রই হচ্ছে পূর্ব জেরুজালেম। ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়। ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী মনে করে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি। সূত্র: আল জাজিরা, পার্স টুডে।