ভেনেজুয়েলায় গণপ্রতিরক্ষায় নিয়োজিত হয়েছে ১৬ লাখ নাগরিক: মাদুরো

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, তার দেশের গণপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বেড়ে ১৬ লাখে দাঁড়িয়েছে। তার দাবি, এই সংখ্যা এ বছরের শুরুতে থাকা সদস্যের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি। '২১ শতকের সমাজতন্ত্রের রূপকার' খ্যাত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চ্যাভেজ বৈদেশিক আগ্রাসন রুখতে দেশের নাগরিকদের স্বেচ্ছামূলক অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এই বাহিনীর জন্ম দিয়েছিলেন। 

nonameমাত্র এক সপ্তাহ আগেই আবারও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন মাদুরো। অবশ্য অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করেননি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির এই নেতা। গত অক্টোবরেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ এনেছিলেন মাদুরো। সোমবার গণপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে বলেন, দখলদার সাম্রাজ্যবাদী এক শক্তি আমাদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে প্রবেশ করতে পারে, তবে তাদের জানা উচিত যে তারা এখান থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে না। 
মূল সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হুগো চ্যাভেজ বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ন্যাশনাল বলিভারিয়ান মিলিশিয়া নামের এই রিজার্ভ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে মাদুরো এই বাহিনীর সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে ঠিক কবে এবং কত জন সদস্যের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে তা জানাননি তিনি।
এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪ লাখের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় গত এপ্রিলেই এর আকার ১০ লাখে উন্নীত করার তাগিদ দেন মাদুরো। তবে ৯ মাসেরও কম সময়ে সেই সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ। 

গত অক্টোবরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মাদুরো দাবি করেছিলেন, তাকে খুন করতে  কলম্বিয়া সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে তিনি দাবি করেছিলেন, 'এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। তারা কিছুই করতে পারবে না, এমনকি আমার চুলও স্পর্শ করতে পারবে না।' মাদুরোকে স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক মন্দার জন্যও তাকে দায়ী করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। মানবাধিকার লঙ্ঘনকে কারণ দেখিয়ে দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও বলবৎ রয়েছে।