জাতিসংঘে শরণার্থী সহায়তা বিষয়ক চুক্তি পাস, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শরণার্থী সহায়তায় বৈশ্বিক চুক্তি পাস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও হাঙ্গেরি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও ১৮১টি দেশ এর পক্ষে রায় দেয়। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলো তিনটি দেশ। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।  

thumbs_b_c_b79ae640911f6f62538148ec36264cf8

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রধান মারিয়া ফারনেন্দো এসপিনোসা বলেন, ‘বিশ্বের আড়াই কোটি শরণার্থীদের জন্য আজ শুভদিন। যারা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন তাদের জন্য আজ শুভদিন।

এক টুইটবার্তায় এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি।  তিনি বলেন, শরণার্থীদের দায়িত্বপালনে এটাই তার দেখা সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসেব অনুযায়ী প্রতি ১০ শরণার্থীর ৯ জনিই উন্নয়নশীল দেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধ ও গণহত্যার শিকার হয়ে ২০১৭ সালে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ছয় কোটি ৮৫ লাখ মানুষ। এরমধ্যে আড়াই কোটি ৪ লাখ শরণার্থী ও ৪ কোটি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ। ৩১ লাখ মানুষ আশ্রয়প্রার্থী।

জাতিসংঘের উপমহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ বলেন, শরণার্থীরাই সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তারা বিচ্ছিন্ন, হত্যার শিকার। নিজ দেশে নিপীড়নের শিকার। তাদের এই সংগ্রাম আমলে নেওয়া উচিত, আমলে নিতে হবে।

নতুন এই চুক্তিটি ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেশনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। তবে এবার শরণার্থীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা ও যেই দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে তাদের পরিবেশের ওপর নজর দেওর্য়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অভিবাসন নিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছিলো জাতিসংঘে। সেটারও বিরোধিতা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র।