হুদাইদাহতে কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি

প্রথমে ভেস্তে গেলেও লোহিত সাগরের বন্দর নগরী হুদাইদাতে জাতিসংঘ প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

_104860835_mediaitem104860834

হুদাইদাহতে নিরপেক্ষ বাহিনী মোতায়েন ও মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় বিবদমান পক্ষগুলো। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় সংকট সমাধানে একটি রাজনৈতিক কাঠামো প্রণয়ণের জন্য আগামী বছরের জানুয়ারিতে পরবর্তী ধাপের আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে না হতেই ভেস্তে যাওয়ার খবরা পাওয়া যায়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মধ্যরাতেই বিবদমান ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি জানিয়েছে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিতও বলেন, উদ্যোগ এখন কাজ করতে শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী-শিশুও রয়েছে। অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর এই যুদ্ধের সমালোচনা তীব্র হতে থাকে। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে মানবিক সহায়তার জন্য ৪০০ কোটি ডলার প্রয়োজন।