ব্রিটিশ বিমানবন্দরের ড্রোন রহস্যে আটক ২

যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের 'ড্রোন রহস্য' নিয়ে সে দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সূত্র থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে 'অপরাধ সংঘটনে ড্রোনের ব্যবহার' নিয়ে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে দুইজনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে  সাসেক্স পুলিশ। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টার পর এক নারী ও এক পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতিকে 'চ্যালেঞ্জিং' আখ্যা দিয়ে তারা ।জানিয়েছে, ড্রোন রহস্যের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে  পারায়। তদন্ত চলমান রয়েছে।  নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়ে বিমানবন্দর খুলে দিলেও পুলিশ জানিয়েছে, সেখানেও তারা প্রয়োজনীয় তদন্তকাজ করছেন।

বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রী

১৯ ডিসেম্বর (বুধবার) যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়ের ওপর দিয়ে দুটি চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) উড়ে যাওয়ার ঘটনায় স্থবির হয়ে পড়ে সেখানকার কার্যক্রম। বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট চলাচল। বড় দিনের আগে আগে দুর্ভোগে পড়ে লাখো যাত্রী। এদিন  রাতে রানওয়ের পাশের বেষ্টনী এবং রানওয়ের কার্যক্রম পরিচালনাস্থলের ওপর দিয়ে দুটো ড্রোন উড়তে দেখা যাওয়ার পরই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়,ফ্লাইট ছাড়ার অন্তিম মুহূর্তে তারা ড্রোন দেখতে পেয়েছে। রানওয়ে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত তা চালু করা হবে না। পরে মধ্যরাতের দিকে বিমানবন্দর আবার চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ৪৫ মিনিট পরই আবার ড্রোন দেখতে পেয়ে বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার অনেক চেষ্টা করেও ড্রোনগুলো শনাক্তে ব্যর্থ হয় ব্রিটিশ পুলিশ। এক পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করা হয়। 
শনিবার দিনের প্রথম প্রহরে সাসেক্স পুলিশের দেওয়া  বিবৃতিতে দুইজনের আটকের খবর জানা যায়। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, 'যে কোনও ধরনের বিপদের ঝুঁকি থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিমানযাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত করার প্রশ্নে যতোক্ষণ পর্যন্ত আমরা  পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত হতে পারছি, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখব।'
গ্যাটউইক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের রানওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। আর শনিবার ৭৫৭টি ফ্লাইটে এক লাখ ২৪ হাজার ৪৮৪জন যাত্রী পরিবহনের কথা রয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আমরা সবগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাই। । নিরাপত্তাই গ্যাটউইকের অগ্রাধিকার।আমরা ক্রিসমাসের আগে যাত্রীদের তাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের অব্যাহত ধৈর্য্যশীল আচরণে আমরা কৃতজ্ঞ।'